অবশেষে মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘কালকক্ষ’। এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক জুটি শর্মিষ্ঠা মাইতি ও রাজদীপ পালের হাতেখড়ি হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছবিটি ঘিরে উৎসাহ সেই প্রথম থেকেই তুঙ্গে ছিল। আর এই ‘কালকক্ষ’ ছবির মাধ্যমের পরে ফিল্ম প্রযোজনায় ফিরল ‘অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন’। ইতিমধ্যেই ছবিটি আন্তর্জাতিক স্তরে সাড়া ফেলে দিয়েছে। তবে সেই ছবি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দর্শকদের সামনে এল। ছবির বিষয়ের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে অতিমারী, সেইসময় ক্লান্ত এবং একঘরে-বিচ্ছিন্ন মানুষের জীবন। 'কালকক্ষ' ছবিটি খুবই ভিন্ন ধরনের সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ভীষণ ধীর গতির একটি ছবি। তাই সকলের ভালো নাও লাগতে পারে।
এই করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ছবির চিত্রনাট্যটি তৈরি করা হয়েছে। প্যানডামিকে মানুষের জীবন, তাঁদের অসহায়তা। অন্যদিকে সেই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের ভূমিকা এই সবটা নিয়েই ছবির মূল কাহিনী। ছবির শুরুতেই দেখা যায়, একটি মেয়ের চিকিৎসককে প্রয়োজন কারণ বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছে। চিকিৎসক আসতে রাজি না হওয়ায় অন্য উপায় বের করে মেয়েটি। তারপর ডাক্তারকে বাড়িতে এনে প্রায় আটক করে ফেলে। বাড়ির প্রত্যেকটি মানুষই গৃহবন্দি। বন্দি ডাক্তার সকলেরই সেবা শুশ্রূষা করে। মহামারির কারণে ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে পারস্পরিক ভরসা। এই পরিস্থিতিতে একটু একটু করে সংক্রমণ ছড়ায় দেশজুড়ে, আর মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সময় নিয়ে খেলা করেছেন এই নবীন পরিচালকরা।
'কালকক্ষ' ছবিটি আর পাঁচটা ছবির থেকে একেবারেই আলাদা, খুবই সিরিয়াস ধাঁচের। সাউন্ড ডিজাইন ও সিনেমাটোগ্রাফি প্রশংসনীয়। মেজ মামণির চরিত্রে তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস ভাল অভিনয় করেছেন। অন্যান্য চরিত্রে জনার্দন ঘোষ ও অমিত সাহাও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে এখন দেখার বিষয় দর্শক কীভাবে গ্রহণ করেন এই ছবি। কারণ এটি সম্পূর্ণ অন্য ঘরানার ছবি।
Tags: Kalkokkho, Kalkokkho movie, Kalkokkho movie review, Tollywood, Internatioanl
Post a Comment