গল্পের মুখ্য ভূমিকায় আছে ঋষি নামক এক চরিত্র যাকে ছোট থেকেই বিভিন্ন ঝড় ঝাপটার সম্মুখীন হতে হয়। স্বস্তিকা পালন করেছেন একজন সাধারণ বাঙালি বাড়ির বউ কিছুটা দাপুটে স্বভাবের যার জীবন তার ছেলে মেয়ে ও স্বামীকে। বড় ছেলে কাজের সূত্রে বাইরে থাকে ও ছোট ছেলে বিদেশ যাওয়ার পথে, তাদেরই ছোট বোন একটু মিষ্টি, একটু দুষ্টু আবার ঠোঁট কাঁটা। ঋষি ছিল অরুণার (স্বস্তিকা) ছোট ছেলের বন্ধু।
ঋষির বাবা ছিল একজন কা পুরুষ যিনি তার স্ত্রী অর্থাৎ মায়া (ঋষির মা) কে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে শারীরিক শোষণ করতো। একসময় ঋষির বাবা যখন তাদের ছেড়ে চলে যায় ঋষির মা হয়ে উঠে উন্মাদ। ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে নিজের জীবন নষ্ট করতে চায়। এইভাবেই ঋষি বড় হয়ে ওঠে ও মায়ের স্নেহের অভাব প্রতিনিয়ত অনুভব করতে থাকে।
একদিন আচমকাই ফেসবুক থেকে তার খোঁজ পায় অরুণা ও কালক্রমে ঋষি অরুণার বাড়ির পেয়িং গেস্ট হিসেবে তাদের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে অরুণা খুব একটা পছন্দ না করলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায় অরুণা যেন হয়ে উঠে ঋষির জীবনের মায়ের স্নেহের কান্ডারী। মিষ্টি ছেলে ঋষি ছিল একজন টেক্সটাইল এক্সপার্ট সেই সুবাদে সে অরুণাকে শাড়ি, টো রিং ইত্যাদি উপহার দিত। তবে এইরকম অবস্থায় অরুণার স্বামীর ঋষির উপর সন্দেহ হয়।
ঋষি অরুণার মধ্যে তার হারিয়ে যাওয়া মাতৃ স্নেহের প্রতি এতোটাই আকুল হয়ে ওঠে যে তার ছোট থেকে ছোট দুঃখে কষ্টে ঋষি ভেঙে পড়ত ও অরুণার জীবনে যে সমস্যা তৈরী করবে সে তাকেই মেরে ফেলবে এমন এক মানসিক অবস্থায় পৌঁছে যায়। একদিন স্বস্তিকা ও তার ছোট মেয়ের মধ্যে বাক বিতন্তা হলে ঋষি পরিকল্পনা মাফিক, সিড়ি থেকে নামার সময় তার অ্যাকসিডেন্টে করায়। যার দরুন মেয়ে হয়ে ওঠে পঙ্গু। এই রকম ভরাডুবি তে ঋষি সর্বদাই অরুণা কে সাহায্য করার জন্য এক কদমও পিছে হাঁটতো না।
Post a Comment